Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

২০০৯-২০১৮ অর্থ বছর বিএমডিএ চিরিরবন্দর কর্তৃক উন্নয়নের তথ্যঃ

২০০৯-২০১৮ অর্থ বছর বিএমডিএ চিরিরবন্দর কর্তৃক উন্নয়নের তথ্যঃ

 

২০০৯-২০১8 অর্থ বছর উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে অত্র চিরিরবন্দর উপজেলায় স্থানীয় সাধারণের কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে।  যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে  ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। নিম্নে উন্নয়নের ফলে উপকারীতার বিবরণ উপস্থাপন করা হ’ল।

 

১।  গভীর নলকুপ স্থাপন- 31টি                       ৭০০ হেঃ (প্রায়) জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে সেচ সেবা স্থানীয় জনসাধারনকে প্রদান করা হয়েছে। উৎপাদিত ফসলে পরিমান ২২৯০ মেঃটন/বছর। উৎপাদিত ফসলের বাজার মূল্য=২৩০ লক্ষ টাকা/বছর । উপকার ভোগী পরিবার-১৭০০ টি।

২। এলএলপি স্থাপন ও কমিশন-১৮টি                ৬৫০ হেঃ (প্রায়) জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে সেচ সেবা প্রদান। ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে। স্থানীয় আত্রাই, কাকরা ও চিরি নদীর পানিকে কৃষি ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবহার সম্ভাব হচ্ছে। বছর ভিত্তিক উৎপাদিত ফসলের পরিমান ২১০০ মেঃটন। বছরে উৎপাদিত ফসলের বাজার মুল্য ২১০.০০ লক্ষ টাকা। উপকার ভোগী পরিবার-১৬০০টি।

৩। ভু-গর্ভস্থ পাইপ লাইন নির্মান

(ইউপিভিসি)-৫৯৩২৮ মিঃ                            ১৫০০-১৬০০ হেঃ জমিতে আধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনার আওতায় আসার ফলে পূর্ব প্রচলিত সেচ নালার মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থাপনা হতে ৩০% পানির ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে। ফলে পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার সাশ্রয় হয়েছে। যাহা জাতীয় অর্থনীতিতে  ব্যয় সংকোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। কৃষকের সেচ খরচ কমে আসছে।

৪। সামাজিক বনায়নঃ

ফলদ-৭৬৫২টি, বনজ-১,৮৮,২৭৩টি ,    

ZvjexR †ivcb 21000 wU|                         এলাকায় সবুজের সমারোহ  বিরাজ করছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য আনায়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয় জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

৫। খালখনন-১০.১০ কিঃমিঃ

(কুমারগাড়ী খাল)                                       ফতেজংপুর ও ইসবপুর ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ হেঃ জমির জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হয়েছে। পানি সংরক্ষনের ব্যাপক আধার সৃষ্টি হয়েছে। সেচ সুবিধা  প্রাপ্ত জমির পরিমান-১১০০.০০ হেঃ, উপকার ভোগী পরিবার-২৬০০, মৎস্য চাষের  পরিমান-১৫-১৮ মেঃটন/বছর। উৎপাদিত ফসলের পরিমান-৩৬০০ মেঃটন (প্রতিবছর),যার বাজার মুল্য পরিমান-৩৬০.০০ লক্ষ টাকা/বছর।

 

৬। বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ-২২.২৫৪ কিঃমিঃ          ৪9টি সেচ যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। সেচ যন্ত্রের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি বিদ্যুতায়নে সহযোগী ভুমিকা পালন করে গ্রাম বিদ্যুতায়ন ও ক্ষুদ্রশিল্প স্থাপনে সহজীকরন হয়েছে। ফলে স্থানীয় জনসাধারণের সামাজিক ও আর্থীক অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন সম্ভব হয়েছে।

 

 

৭। খাবার পানি স্থাপনা নির্মান-০৭টি                  গ্রামের দরিদ্র জনগণের কাছে অল্পমুল্যে সুপেয় বিশুদ্ধ পানি দোড় গোড়ায় পৌছানো সম্ভব হয়েছে। ফলে এলাকার জন সাধারণের সুপেয় পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে। সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে। DcKvi †fvMx cwievi-2907wU|

 

 

 

 

 

 

৮। কৃষক প্রশিক্ষণ- ২৫০ জন                         আধুনিক সেচ ব্যবস্থা, ফসল উৎপাদন, বিপনন,প্রভৃতি কাজে কৃষক ভাইদের ব্যাপক সহযোগীতা প্রদান সম্ভব হয়েছে। ফসলের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস,অধিকতর উন্নত জাতের ফসল ফলানো সম্ভাব হয়েছে। খাদ্য ঘাটতি নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে সহায়ক ভুমিকা পালন করা সম্ভব হয়েছে।

 

 

৯। প্রি-পেইড মিটার স্থাপন- 106 টি                 প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের ফলে সেচের পানি গ্রহণে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পানির অধিক ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে। ফসলের উৎপাদন খরচ কমে আসছে। প্রান্তিক কৃষকদের পানি গ্রহণে সমঅধিকার প্রতিষ্টা পেয়েছে। কৃষকদের সুবিধামত সময়ে প্রি-পেইড কার্ড রিচার্জের মাধ্যমে প্রয়োজনের সময়ে সেচ গ্রহণের সুবিধা ভোগ করনে সহজী করন হয়েছে।

 

 

উল্লেখিত উন্নয়ন কর্ম কান্ডের ফলে এলাকার জনসাধারনের আর্থ সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন হয়েছে।

চিরিরবন্দর  উপজেলায় প্রস্তাবিত নদী/খালের পানির ব্যাপক ভাবে ব্যবহারের জন্য আরো ১০০ কিঃ মিঃ খালও ইচ্ছামতি নদীটি পুনঃখনন হলে অত্র এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাস পাবে, সেচ খরচ তুলনামুলক ভাবে কমে যাবে, ভূ-গর্ভস্থ স্থিতিশীল পানির স্থর উন্নতহবে। খাল/নদীর পাড়ে রোপিত ফলদ/বনজ বৃক্ষ স্থানীয় জন সাধারনের পুষ্টির চাহিদা পুরন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে সুরক্ষা পাবে। খালে মাছ চাষের ফলে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আমিষের  চাহিদা পুরনে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে। তাই বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চিরিরবন্দর উপজেলার সকল  খাল/নদী পুনঃখনন,এলএলপি স্থাপন ও বনায়ন কার্যক্রম করার যথাযথ ব্যবস্থা  গ্রহনের জন্য প্রকল্প সহায়তা প্রদান করলে অত্র এলাকায় আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিপ্লব ঘটবে এবং বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের  সাথে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে আরো সম্পৃক্ততা বাড়বে।